
প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোতে যোগাযোগ একটি অপরিহার্য বিষয়, যা একটি সংস্থার লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। ডায়াগোনাল কমিউনিকেশন (Diagonal Communication) হলো এমন এক প্রকার যোগাযোগ, যেখানে বিভিন্ন বিভাগ এবং ভিন্ন ভিন্ন পদমর্যাদার কর্মচারীরা একে অপরের সাথে সরাসরি তথ্য আদান-প্রদান করে। এটি দ্রুত সমস্যা সমাধান এবং সহযোগিতার ক্ষেত্রে বেশ কার্যকরী হলেও এর বেশ কিছু মারাত্মক disadvantages of diagonal communication বা সমস্যা এবং ঝুঁকি রয়েছে। এই ধরনের যোগাযোগ যখন প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর প্রচলিত নিয়ম ভেঙে যায়, তখন তা নিয়ন্ত্রণহীনতা, ভুল বোঝাবুঝি এবং সাংগঠনিক সংঘাতের জন্ম দিতে পারে।
disadvantages of diagonal communication মূলত যোগাযোগের নিয়ন্ত্রণের অভাব এবং আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়াকে বাইপাস করার প্রবণতা থেকে সৃষ্টি হয়। যখন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং নিম্নপদস্থ কর্মচারীরা নিয়মিতভাবে একে অপরের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করেন, তখন মাঝে থাকা ব্যবস্থাপক বা সুপারভাইজাররা প্রায়শই প্রাসঙ্গিক তথ্য থেকে বঞ্চিত হন। এর ফলে তারা তাদের দলের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারাতে পারেন এবং পুরো সাংগঠনিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে। এটি কর্মচারীদের মধ্যে কর্তৃত্বের বিষয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করে, যা কাজের পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।
এই নিবন্ধে আমরা বিস্তারিতভাবে disadvantages of diagonal communication নিয়ে আলোচনা করব। আমরা দেখব কীভাবে এই ধরনের যোগাযোগ সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে, ক্ষমতার ভারসাম্য নষ্ট করে এবং কর্মীদের মধ্যে মানসিক চাপ বাড়িয়ে তোলে। প্রাতিষ্ঠানিক যোগাযোগ (Organizational Communication)-এর ক্ষেত্রে এই ঝুঁকিগুলো বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যাতে একটি সংস্থা কার্যকরভাবে এগুলো মোকাবেলা করতে পারে এবং যোগাযোগ প্রক্রিয়াকে আরও সুসংগঠিত করতে পারে।
সাংগঠনিক কাঠামোতে নিয়ন্ত্রণহীনতা সৃষ্টি
ডায়াগোনাল কমিউনিকেশন বা আড়াআড়ি যোগাযোগকে কাজে লাগানোর সুবিধা থাকলেও, এর অন্যতম প্রধান disadvantages of diagonal communication হলো এটি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোতে নিয়ন্ত্রণহীনতা সৃষ্টি করে। একটি সংস্থায় সাধারণত একটি সুসংগঠিত চেইন অব কমান্ড বা নির্দেশনার শৃঙ্খল থাকে, যা তথ্য এবং কর্তৃত্বের প্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ করে। ডায়াগোনাল কমিউনিকেশন যখন এই শৃঙ্খলকে উপেক্ষা করে, তখন ব্যবস্থাপকরা বা সরাসরি সুপারভাইজাররা তাদের দলের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারান।
যখন নিম্নপদস্থ কর্মচারীরা তাদের সরাসরি ব্যবস্থাপককে না জানিয়ে অন্য কোনো বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সাথে সরাসরি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে যোগাযোগ করেন, তখন মাঝের ব্যবস্থাপক প্রায়শই অন্ধকারে থেকে যান। এর ফলস্বরূপ, ব্যবস্থাপকরা তাদের দলের কাজের অগ্রগতি, সমস্যা বা চ্যালেঞ্জগুলো সম্পর্কে সঠিক ধারণা পান না। নিয়ন্ত্রণহীনতার এই পরিস্থিতি কাজের দায়িত্বের দ্বৈততা (Duplication of Effort) সৃষ্টি করতে পারে এবং কাজের মান নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করে।
এই সমস্যাটি দীর্ঘমেয়াদে সাংগঠনিক শৃঙ্খলাকে দুর্বল করে তোলে। যেহেতু তথ্য প্রবাহ একটি নির্দিষ্ট এবং আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদিত পথে হয় না, তাই তথ্য বিকৃতির ঝুঁকি বা ভুল ব্যাখ্যার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। ব্যবস্থাপকীয় নিয়ন্ত্রণ হারানোর কারণে পুরো বিভাগের উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্যের মধ্যে সমন্বয় বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়ে, যা সামগ্রিক কর্মদক্ষতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
চেইন অব কমান্ড লঙ্ঘন
ডায়াগোনাল কমিউনিকেশনের একটি প্রধান disadvantage of diagonal communication হলো এটি প্রায়শই চেইন অব কমান্ড বা নির্দেশনার শৃঙ্খলকে লঙ্ঘন করে। আদর্শ প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোতে তথ্যকে অবশ্যই নির্দিষ্ট স্তর পেরিয়ে যেতে হয়, যা প্রত্যেকের কর্তৃত্ব এবং দায়িত্ব নিশ্চিত করে।
যখন কোনো কর্মী তার সরাসরি সুপারভাইজারকে এড়িয়ে অন্য কোনো বিভাগের বসের সাথে যোগাযোগ করে, তখন স্বাভাবিক প্রশাসনিক প্রক্রিয়াটি ভেঙে যায়। এই লঙ্ঘন কর্তৃত্বের বিষয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করে এবং সরাসরি সুপারভাইজারের ক্ষমতাকে খর্ব করে।
এই শৃঙ্খল লঙ্ঘন কর্মীদের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে এবং সাংগঠনিক কাঠামোকে দুর্বল করে দেয়।
তথ্যের প্রবাহে বিভ্রান্তি সৃষ্টি
ডায়াগোনাল কমিউনিকেশনের কারণে তথ্যের প্রবাহ একটি অনানুষ্ঠানিক পথে হয়, যা প্রায়শই বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। যখন একটি তথ্য একাধিক এবং অনিয়ন্ত্রিত চ্যানেল দিয়ে প্রবাহিত হয়, তখন সেটির মূল অর্থ বিকৃত হওয়ার বা ভুলভাবে ব্যাখ্যা হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
একই তথ্য ভিন্ন ভিন্নভাবে বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তার কাছে পৌঁছালে, প্রত্যেকে সেই তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ভিন্ন ভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এর ফলে, সংস্থার বিভিন্ন অংশের মধ্যে সমন্বয়হীনতা দেখা দেয়, যা কাজের পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।
এই বিভ্রান্তি সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়াকে জটিল করে তোলে।
ব্যবস্থাপকদের দায়িত্বহীনতা অনুভব
ডায়াগোনাল কমিউনিকেশনের কারণে ব্যবস্থাপকরা প্রায়শই নিজেদের দায়িত্বহীন বা অপ্রয়োজনীয় অনুভব করতে পারেন। যখন তাদের দলের সদস্যরা তাদের সরাসরি না জানিয়ে অন্য বসের সাথে যোগাযোগ করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আদান-প্রদান করে, তখন ব্যবস্থাপকদের মনে হতে পারে যে তাদের ভূমিকা গুরুত্বহীন।
এই দায়িত্বহীনতা বা উপেক্ষিত হওয়ার অনুভূতি ব্যবস্থাপকদের মনোবল কমিয়ে দেয় এবং কাজের প্রতি তাদের আগ্রহ হ্রাস করে। এর ফলস্বরূপ, তারা তাদের দলের সদস্যদের সঠিক নির্দেশনা দিতে বা সমস্যার সমাধানে সক্রিয় ভূমিকা নিতে ব্যর্থ হন।
ব্যবস্থাপকদের দায়িত্বহীনতা অনুভব করা সামগ্রিক কর্মক্ষমতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
সংঘাত এবং ভুল বোঝাবুঝির ঝুঁকি
disadvantages of diagonal communication-এর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো এটি কর্মীদের মধ্যে সংঘাত এবং ভুল বোঝাবুঝির ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। ডায়াগোনাল যোগাযোগ প্রায়শই একটি অনানুষ্ঠানিক এবং দ্রুত প্রকৃতির হয়, যেখানে প্রয়োজনীয় প্রেক্ষাপট বা বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয় না। এর ফলে তথ্য আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে ভুল ব্যাখ্যা বা ভুল বোঝাবুঝির সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
যখন ভিন্ন ভিন্ন বিভাগ এবং পদমর্যাদার কর্মচারীরা সরাসরি যোগাযোগ করেন, তখন তাদের কাজের লক্ষ্য, অগ্রাধিকার এবং পরিভাষা ভিন্ন হতে পারে। একটি বিভাগের জন্য যা দ্রুত সমাধান, অন্য বিভাগের জন্য তা অপ্রয়োজনীয় চাপ হতে পারে। এই ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিগুলো ভুল বোঝাবুঝির জন্ম দেয়, যা পরে সংঘাতের দিকে মোড় নেয়। এই সংঘাতগুলো আন্তঃবিভাগীয় সহযোগিতা এবং কাজের পরিবেশকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে।
এছাড়াও, ডায়াগোনাল কমিউনিকেশন প্রায়শই যোগাযোগের ক্ষেত্রে ইমোশনাল বা আবেগপ্রবণ উপাদান নিয়ে আসে, কারণ এটি অনানুষ্ঠানিক পথে হয়। এই অনানুষ্ঠানিকতা অনেক সময় যথাযথ পেশাদারী ভাষা এবং বিনয় বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়, যা সংঘাতের একটি বড় কারণ হতে পারে। সংঘাত এবং ভুল বোঝাবুঝির এই ঝুঁকিগুলো নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়, কারণ যোগাযোগটি আনুষ্ঠানিক কাঠামোর বাইরে সংঘটিত হয়।
আন্তঃবিভাগীয় সংঘাত সৃষ্টি
ডায়াগোনাল কমিউনিকেশনের ফলে বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে সংঘাত সৃষ্টি হতে পারে, যা অন্যতম একটি disadvantage of diagonal communication। যখন দুটি ভিন্ন বিভাগের কর্মীরা তাদের নিজ নিজ ব্যবস্থাপকদের সম্মতি ছাড়া সরাসরি কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় বা তথ্য আদান-প্রদান করে, তখন অন্য বিভাগ বা ব্যবস্থাপক এর বিরোধিতা করতে পারেন।
এই সংঘাত সাধারণত কাজের অগ্রাধিকার, সম্পদের ব্যবহার বা তথ্যের সঠিকতা নিয়ে হয়। যেহেতু এই যোগাযোগ প্রাতিষ্ঠানিক অনুমোদন পায় না, তাই সংঘাত নিরসনের জন্য কোনো পরিষ্কার প্রক্রিয়া থাকে না।
এই আন্তঃবিভাগীয় সংঘাত কাজের প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করে এবং সময় নষ্ট করে।
তথ্য ভুল ব্যাখ্যার প্রবণতা
ডায়াগোনাল কমিউনিকেশনের গতি দ্রুত হলেও এতে তথ্যের ভুল ব্যাখ্যার প্রবণতা বেশি থাকে। বিভিন্ন বিভাগ বা পদমর্যাদার ব্যক্তির পেশাগত জ্ঞান এবং পরিভাষা ভিন্ন হতে পারে। একটি বিভাগের কর্মী যা সাধারণ বিষয় হিসেবে ধরে নেয়, অন্য বিভাগের কর্মী তা ভিন্নভাবে বুঝতে পারে।
এছাড়াও, অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগে প্রায়শই প্রয়োজনীয় প্রেক্ষাপট বা ব্যাকগ্রাউন্ড তথ্য দেওয়া হয় না, যা ভুল ব্যাখ্যার ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। এই ভুল ব্যাখ্যাগুলো পরে কাজের ত্রুটি বা অপ্রয়োজনীয় সিদ্ধান্তের জন্ম দিতে পারে।
তথ্যের ভুল ব্যাখ্যা কাজের মানকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
কর্তৃত্ব নিয়ে মানসিক সংঘাত
ডায়াগোনাল কমিউনিকেশনের কারণে কর্মীদের মধ্যে কর্তৃত্ব নিয়ে মানসিক সংঘাত বা অস্বস্তি সৃষ্টি হতে পারে। নিম্নপদস্থ কর্মীরা বুঝতে পারে না যে, তারা তাদের সরাসরি ব্যবস্থাপকের নির্দেশ অনুসরণ করবে, নাকি ডায়াগোনাল যোগাযোগে পাওয়া উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার নির্দেশনা মানবে।
এই দ্বিধা কর্মীদের মধ্যে চাপ সৃষ্টি করে এবং তাদের সিদ্ধান্ত নিতে অসুবিধা হয়। অন্যদিকে, সরাসরি ব্যবস্থাপকরা মনে করতে পারেন যে তাদের কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করা হচ্ছে। এই মানসিক সংঘাত কাজের পরিবেশকে বিষাক্ত করে তোলে।
কর্তৃত্ব নিয়ে এই সংঘাত কর্মীদের মনোবল ভেঙে দেয়।
সময় অপচয় এবং অদক্ষতার সম্ভাবনা
কার্যকরী যোগাযোগের উদ্দেশ্য হলো সময় বাঁচানো এবং কাজের অদক্ষতা হ্রাস করা। কিন্তু ডায়াগোনাল কমিউনিকেশনের কিছু disadvantages of diagonal communication এমন পরিস্থিতি তৈরি করে যেখানে সময় অপচয় হয় এবং কাজের অদক্ষতা বেড়ে যায়। যদিও প্রাথমিকভাবে মনে হতে পারে যে সরাসরি যোগাযোগ সময় বাঁচায়, তবে অনিয়ন্ত্রিত ডায়াগোনাল যোগাযোগ প্রায়শই দ্বৈত কাজ (Duplication of Work) এবং অপ্রয়োজনীয় মিটিংয়ের জন্ম দেয়।
যখন কোনো একটি কাজ বা তথ্যের বিষয়ে দুটি ভিন্ন বিভাগের দুজন কর্মী সরাসরি যোগাযোগ করেন, কিন্তু সেই তথ্যের বিষয়ে তাদের সরাসরি ব্যবস্থাপকদের অবহিত করেন না, তখন ব্যবস্থাপকরা একই বিষয়ে আবার কাজ শুরু করতে পারেন। এই দ্বৈত কাজ বা প্রচেষ্টার পুনরাবৃত্তি কেবল সময় অপচয় করে না, বরং প্রতিষ্ঠানের মূল্যবান সম্পদেরও অপচয় ঘটায়। এটি সমগ্র সাংগঠনিক প্রক্রিয়াকে অদক্ষ করে তোলে।
এছাড়াও, ডায়াগোনাল কমিউনিকেশনের মাধ্যমে পাওয়া কোনো তথ্যের বা সিদ্ধান্তের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক অনুমোদন নিতে আরও বেশি সময় লাগতে পারে। কারণ, সেই তথ্য বা সিদ্ধান্তকে আবার চেইন অব কমান্ডের মাধ্যমে যাচাই এবং অনুমোদনের জন্য প্রক্রিয়াকরণ করতে হয়। এই অতিরিক্ত যাচাইকরণ প্রক্রিয়াটি পুরো কাজটিকে বিলম্বিত করে এবং প্রাথমিক সুবিধাটিকে নষ্ট করে দেয়।
কাজের দ্বৈততা ও প্রচেষ্টার পুনরাবৃত্তি
ডায়াগোনাল কমিউনিকেশনের একটি প্রধান disadvantage of diagonal communication হলো এটি কাজের দ্বৈততা বা প্রচেষ্টার পুনরাবৃত্তি ঘটায়। যখন একজন কর্মী সরাসরি অন্য বিভাগের প্রধানের সাথে যোগাযোগ করে কোনো কাজ শুরু করেন, তখন তাদের সরাসরি ব্যবস্থাপক সেই বিষয়ে অবগত না-ও থাকতে পারেন।
ফলে, ব্যবস্থাপক হয়তো একই কাজ শুরু করার জন্য অন্য কাউকে নির্দেশ দেন বা নিজেই কাজটি শুরু করে দেন। এই দ্বৈত প্রচেষ্টা কেবল সময় অপচয় করে না, বরং প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সম্পদেরও অপচয় ঘটায়। এটি সামগ্রিক সাংগঠনিক অদক্ষতার কারণ হয়।
কাজের দ্বৈততা প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনশীলতা কমিয়ে দেয়।
সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিলম্ব
যদিও ডায়াগোনাল কমিউনিকেশনের উদ্দেশ্য দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ, কিন্তু প্রায়শই এর ফলে সিদ্ধান্তে বিলম্ব ঘটে। ডায়াগোনাল যোগাযোগের মাধ্যমে নেওয়া কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তকে অবশ্যই পরে আনুষ্ঠানিক চেইন অব কমান্ডের মাধ্যমে অনুমোদন করাতে হয়।
এই আনুষ্ঠানিক অনুমোদনের প্রক্রিয়ায় সেই সিদ্ধান্তের বিষয়ে আলোচনা, যাচাই এবং অনেক ক্ষেত্রে পরিবর্তন করতে হয়। এই অতিরিক্ত পদক্ষেপগুলো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে বিলম্ব ঘটায়, যা কাজের সময়সীমা পূরণে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে বিলম্ব ঘটায়।
অপ্রয়োজনীয় মিটিং ও আলোচনা
ডায়াগোনাল কমিউনিকেশনের কারণে প্রায়শই অপ্রয়োজনীয় মিটিং এবং আলোচনার প্রয়োজন হয়। যেহেতু ডায়াগোনাল যোগাযোগের মাধ্যমে আদান-প্রদান করা তথ্যে প্রায়শই ভুল বোঝাবুঝি বা প্রেক্ষাপটের অভাব থাকে, তাই এই ভুলগুলো সংশোধন করতে বা পরিষ্কার করতে অতিরিক্ত মিটিংয়ের আয়োজন করতে হয়।
এই অপ্রয়োজনীয় আলোচনা এবং মিটিংগুলো কর্মীদের মূল্যবান কাজের সময় নষ্ট করে। এর ফলে কর্মীরা তাদের মূল দায়িত্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন এবং কাজের গতি কমে যায়।
অতিরিক্ত মিটিং কর্মীদের উৎপাদনশীলতা কমিয়ে দেয়।
মানসিক চাপ এবং কর্মীর ওপর চাপ বৃদ্ধি
ডায়াগোনাল কমিউনিকেশন কর্মীদের ওপর মানসিক চাপ এবং কাজের চাপ বৃদ্ধি করতে পারে, যা এর অন্যতম disadvantages of diagonal communication। যখন একজন নিম্নপদস্থ কর্মী তার সরাসরি ব্যবস্থাপককে এড়িয়ে অন্য কোনো উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সাথে সরাসরি যোগাযোগ করেন, তখন তার ওপর অতিরিক্ত প্রত্যাশা এবং চাপ তৈরি হতে পারে। এই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা প্রায়শই তাদের কাজের গতি অনুযায়ী দ্রুত ফলাফল আশা করেন, যা নিম্নপদস্থ কর্মীদের জন্য মানসিক চাপের কারণ হয়।
এই ধরনের যোগাযোগ কর্মীদের মধ্যে জবাবদিহিতার বিষয়েও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। একজন কর্মী একই সময়ে দুটি ভিন্ন উৎস থেকে নির্দেশ পেতে পারেন—একটি তার সরাসরি সুপারভাইজারের কাছ থেকে এবং অন্যটি ডায়াগোনাল যোগাযোগের মাধ্যমে। এই পরস্পরবিরোধী নির্দেশনাগুলো কর্মীর জন্য মানসিক চাপ সৃষ্টি করে এবং তাদের কাজের অগ্রাধিকার নির্ধারণে অসুবিধা হয়।
এছাড়াও, ডায়াগোনাল কমিউনিকেশনের মাধ্যমে যখন কর্মীরা সরাসরি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করেন, তখন তাদের কাজের মান নিয়ে আরও বেশি সমালোচনার শিকার হওয়ার ভয় থাকে। কারণ, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা সাধারণত খুঁটিনাটি বিষয়গুলো দেখেন না, বরং কেবল বড় লক্ষ্য এবং ফলাফলের ওপর মনোযোগ দেন। এই সমালোচনার ভয় এবং কাজের দ্বৈত চাপ কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
কাজের দ্বৈত চাপ ও পরস্পরবিরোধী নির্দেশনা
ডায়াগোনাল কমিউনিকেশনের ফলে কর্মীদের ওপর কাজের দ্বৈত চাপ তৈরি হয় এবং তারা প্রায়শই পরস্পরবিরোধী নির্দেশনা পান। একজন কর্মী তার সরাসরি ব্যবস্থাপকের কাছ থেকে একটি নির্দিষ্ট কাজের অগ্রাধিকার পায়, কিন্তু ডায়াগোনাল যোগাযোগের মাধ্যমে অন্য এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ভিন্ন একটি কাজের জন্য দ্রুত চাপ দিতে পারেন।
এই পরস্পরবিরোধী নির্দেশনাগুলো কর্মীর জন্য মানসিক চাপ সৃষ্টি করে এবং কাজের অগ্রাধিকার নির্ধারণে অসুবিধা তৈরি করে। এর ফলে কর্মী হতাশ বা বিভ্রান্ত হয়ে যেতে পারে এবং কোনো কাজই সঠিকভাবে শেষ করতে পারে না।
কাজের দ্বৈত চাপ কর্মীদের উৎপাদনশীলতা হ্রাস করে।
জবাবদিহিতার বিষয়ে বিভ্রান্তি
ডায়াগোনাল কমিউনিকেশনের কারণে কর্মীরা প্রায়শই বুঝতে পারে না যে, তারা তাদের কাজের জন্য কার কাছে জবাবদিহি করবে। যখন তারা তাদের সরাসরি ব্যবস্থাপককে এড়িয়ে অন্য কারো সাথে যোগাযোগ করে, তখন তাদের মনে হতে পারে যে তারা সেই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার কাছেও জবাবদিহি করতে বাধ্য।
এই জবাবদিহিতার বিষয়ে বিভ্রান্তি কর্মীদের মধ্যে চাপ সৃষ্টি করে এবং তাদের কাজের প্রক্রিয়াকে জটিল করে তোলে। সঠিক জবাবদিহিতার অভাব কাজের মানকেও নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
জবাবদিহিতার বিভ্রান্তি কর্মীদের মানসিক চাপ বাড়ায়।
উচ্চ প্রত্যাশার চাপ সৃষ্টি
ডায়াগোনাল কমিউনিকেশনের মাধ্যমে নিম্নপদস্থ কর্মীদের ওপর উচ্চ প্রত্যাশার চাপ সৃষ্টি হতে পারে। উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা সাধারণত দ্রুত ফলাফল এবং সর্বোচ্চ মানের কাজ আশা করেন, যা নিম্নপদস্থ কর্মীর দক্ষতা বা বর্তমান কাজের চাপের সাথে সবসময় সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।
এই অতিরিক্ত প্রত্যাশার চাপ কর্মীদের মনোবল কমিয়ে দিতে পারে এবং তারা নিজেদের কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন করার বিষয়ে আত্মবিশ্বাস হারাতে পারে। এই চাপ দীর্ঘমেয়াদে কর্মীর কর্মজীবনের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
উচ্চ প্রত্যাশার চাপ কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার অবমূল্যায়ন
ডায়াগোনাল কমিউনিকেশনের একটি বড় disadvantage of diagonal communication হলো এটি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর প্রতিষ্ঠিত আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া এবং যোগাযোগের চ্যানেলের অবমূল্যায়ন করে। প্রতিটি সংস্থার কাজ করার একটি নির্দিষ্ট প্রোটোকল বা নিয়ম থাকে, যা নিয়ম ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সহায়ক। যখন কর্মীরা নিয়মিতভাবে এই প্রক্রিয়াগুলো এড়িয়ে চলেন, তখন পুরো সাংগঠনিক কাঠামো এবং এর কার্যকারিতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আনুষ্ঠানিক যোগাযোগের প্রক্রিয়াটি তথ্যকে যাচাই, সংরক্ষণ এবং সবার কাছে সমানভাবে পৌঁছানোর সুযোগ দেয়। ডায়াগোনাল কমিউনিকেশন এই প্রক্রিয়াগুলো বাইপাস করার কারণে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হারিয়ে যেতে পারে বা কেবল কয়েকজন ব্যক্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে পারে। এর ফলে, ভবিষ্যতে কোনো সমস্যা বা আইনি জটিলতা তৈরি হলে, সেই যোগাযোগের কোনো লিখিত বা আনুষ্ঠানিক রেকর্ড থাকে না।
এছাড়াও, আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার অবমূল্যায়ন কর্মীদের মধ্যে একটি বার্তা দেয় যে, নিয়ম ও প্রোটোকল মানা জরুরি নয়। এই মানসিকতা দীর্ঘমেয়াদে কর্মীদের মধ্যে অনাচার এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে, যা পুরো প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলার জন্য ক্ষতিকর।
রেকর্ডের অভাব এবং আইনি ঝুঁকি
ডায়াগোনাল কমিউনিকেশনের কারণে যোগাযোগের কোনো আনুষ্ঠানিক রেকর্ড থাকে না, যা অন্যতম একটি disadvantage of diagonal communication। অনানুষ্ঠানিক পথে হওয়া এই যোগাযোগগুলো প্রায়শই মৌখিক বা অস্থায়ী চ্যাটের মাধ্যমে হয়।
ভবিষ্যতে কোনো আইনি জটিলতা, কাজের ভুল বা বিরোধ সৃষ্টি হলে, এই যোগাযোগের কোনো লিখিত প্রমাণ বা ট্রেইল পাওয়া যায় না। রেকর্ডের এই অভাব প্রতিষ্ঠানকে আইনি ঝুঁকিতে ফেলতে পারে এবং সমস্যা সমাধানে বাধা সৃষ্টি করে।
রেকর্ডের অভাব আইনি ঝুঁকি এবং জবাবদিহিতার সমস্যা তৈরি করে।
প্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়া উপেক্ষা
ডায়াগোনাল কমিউনিকেশন কর্মীদেরকে প্রাতিষ্ঠানিক যোগাযোগের প্রক্রিয়া বা প্রোটোকল উপেক্ষা করতে উৎসাহিত করে। কর্মীদের মনে হতে পারে যে, দ্রুত ফলাফলের জন্য নিয়ম মানা জরুরি নয়।
এই মানসিকতা দীর্ঘমেয়াদে প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলার জন্য ক্ষতিকর। আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার এই অবমূল্যায়ন কর্মীদের মধ্যে একটি বিশৃঙ্খল কাজের পরিবেশ তৈরি করে, যেখানে সবাই নিজ নিজ সুবিধামতো নিয়ম ভাঙে।
প্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়া উপেক্ষা করা সাংগঠনিক কাঠামোকে দুর্বল করে।
প্রথাগত চ্যানেলের গুরুত্ব হ্রাস
ডায়াগোনাল কমিউনিকেশনের অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে প্রথাগত যোগাযোগের চ্যানেলগুলোর গুরুত্ব হ্রাস পায়। যখন কর্মীরা দেখেন যে, তাদের সরাসরি ব্যবস্থাপককে না জানিয়ে অন্য কোনো বসের সাথে কথা বললেই দ্রুত কাজ হয়, তখন তারা প্রথাগত চ্যানেলের ব্যবহার কমিয়ে দেয়।
এই গুরুত্ব হ্রাস সামগ্রিক সাংগঠনিক যোগাযোগের মানকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। প্রথাগত চ্যানেলের মাধ্যমে যে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো আদান-প্রদান করা হতো, তা এখন অনিয়ন্ত্রিত ডায়াগোনাল চ্যানেলে হারিয়ে যেতে পারে।
প্রথাগত চ্যানেলের গুরুত্ব হ্রাস সামগ্রিক শৃঙ্খলার জন্য ক্ষতিকর।
গোপনীয়তা লঙ্ঘন এবং তথ্যের নিরাপত্তা ঝুঁকি
তথ্য সুরক্ষার ক্ষেত্রে ডায়াগোনাল কমিউনিকেশনের বেশ কিছু মারাত্মক disadvantages of diagonal communication রয়েছে। অনিয়ন্ত্রিত এবং অনানুষ্ঠানিক চ্যানেলের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ বা গোপনীয় তথ্য আদান-প্রদান করলে তথ্যের নিরাপত্তা ঝুঁকি বহুলাংশে বেড়ে যায়। এই ধরনের যোগাযোগে প্রায়শই সেই সব কর্মীদের কাছে তথ্য চলে যেতে পারে, যাদের সেই তথ্য জানার কোনো প্রয়োজন নেই।
একটি সংস্থায় সংবেদনশীল তথ্য, যেমন— আর্থিক প্রতিবেদন, কর্মী মূল্যায়ন বা কৌশলগত পরিকল্পনা, শুধুমাত্র নির্দিষ্ট পদাধিকারীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকা উচিত। ডায়াগোনাল কমিউনিকেশন যখন এই সীমানাগুলো ভেঙে দেয়, তখন গোপনীয় তথ্য ভুল হাতে পড়ার বা অনিচ্ছাকৃতভাবে ফাঁস হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। এই গোপনীয়তা লঙ্ঘন প্রতিষ্ঠানের সুনাম এবং আইনি অবস্থান—উভয়কেই ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
এছাড়াও, ডায়াগোনাল কমিউনিকেশন প্রায়শই ব্যক্তিগত ডিভাইস বা অনানুষ্ঠানিক প্ল্যাটফর্ম (যেমন— ব্যক্তিগত হোয়াটসঅ্যাপ বা মেসেঞ্জার) ব্যবহার করে সংঘটিত হয়। এই প্ল্যাটফর্মগুলো সাধারণত প্রাতিষ্ঠানিক নিরাপত্তা মানদণ্ড মেনে চলে না, যা তথ্যের নিরাপত্তা ঝুঁকিকে আরও বাড়িয়ে তোলে। তথ্যের এই অনিয়ন্ত্রিত প্রবাহ প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক নিরাপত্তার জন্য একটি গুরুতর হুমকি।
সংবেদনশীল তথ্যের অনিয়ন্ত্রিত বিতরণ
ডায়াগোনাল কমিউনিকেশনের একটি বড় disadvantage of diagonal communication হলো সংবেদনশীল তথ্যের অনিয়ন্ত্রিত বিতরণ। উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং নিম্নপদস্থ কর্মীদের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগের সময়, গুরুত্বপূর্ণ বা গোপনীয় তথ্য এমন কর্মীদের কাছে পৌঁছে যেতে পারে, যাদের সেই তথ্য জানার কোনো প্রয়োজন বা অধিকার নেই।
এই অনিয়ন্ত্রিত বিতরণ গোপনীয়তা চুক্তির লঙ্ঘন হতে পারে এবং প্রতিষ্ঠানের কৌশলগত বা আর্থিক তথ্য ফাঁস হওয়ার ঝুঁকি তৈরি করে। এই ঝুঁকি প্রতিষ্ঠানের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা এবং সুনামকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
সংবেদনশীল তথ্যের অনিয়ন্ত্রিত বিতরণ নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়ায়।
ব্যক্তিগত ডিভাইস ব্যবহারের ঝুঁকি
ডায়াগোনাল কমিউনিকেশন প্রায়শই কর্মীদের ব্যক্তিগত ডিভাইস বা অনানুষ্ঠানিক মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে সংঘটিত হয়। এই প্ল্যাটফর্মগুলো সাধারণত প্রাতিষ্ঠানিক নিরাপত্তা প্রোটোকল এবং এনক্রিপশন মানদণ্ড মেনে চলে না।
ব্যক্তিগত ডিভাইসে থাকা এই তথ্যগুলো প্রতিষ্ঠানের কেন্দ্রীয় সার্ভারের বাইরে থাকে, যা ডেটা সুরক্ষার ক্ষেত্রে একটি বড় দুর্বলতা। ডিভাইসের ক্ষতি বা চুরি হলে, প্রতিষ্ঠানের গোপনীয় তথ্য ফাঁস হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়।
ব্যক্তিগত ডিভাইস ব্যবহার তথ্যের নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।
তথ্য বিকৃতি এবং ভুল উপস্থাপনা
অনানুষ্ঠানিক ডায়াগোনাল কমিউনিকেশনে তথ্য বিকৃত হওয়ার এবং ভুলভাবে উপস্থাপিত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তথ্যের একটি অংশ যখন একাধিক ব্যক্তির মাধ্যমে অনিয়ন্ত্রিতভাবে প্রবাহিত হয়, তখন প্রতিটি স্তরেই সামান্য পরিবর্তন বা ভুল ব্যাখ্যার মাধ্যমে তথ্যের মূল অর্থ পরিবর্তিত হতে পারে।
এই তথ্য বিকৃতি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করতে পারে এবং ভুল কৌশলের জন্ম দিতে পারে। গোপনীয় তথ্যের ক্ষেত্রে এই ধরনের বিকৃতি মারাত্মক ফলাফল বয়ে আনতে পারে।
তথ্য বিকৃতি এবং ভুল উপস্থাপনা সাংগঠনিক কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়।
উপসংহার
বন্ধু, ডায়াগোনাল কমিউনিকেশন দ্রুত সমস্যা সমাধানে সহায়ক হলেও এর বেশ কিছু গুরুতর disadvantages of diagonal communication রয়েছে যা কোনো সংস্থাকে দুর্বল করে দিতে পারে। আমরা দেখেছি যে, এই ধরনের যোগাযোগ কীভাবে সাংগঠনিক কাঠামোতে নিয়ন্ত্রণহীনতা সৃষ্টি করে, আন্তঃবিভাগীয় সংঘাত বাড়িয়ে তোলে এবং কর্মীদের ওপর মানসিক চাপ বৃদ্ধি করে। চেইন অব কমান্ড লঙ্ঘন, কাজের দ্বৈততা এবং তথ্যের নিরাপত্তা ঝুঁকিগুলো এই যোগাযোগের প্রধান সমস্যা হিসেবে বিবেচিত।
একটি সংস্থার দীর্ঘমেয়াদী সাফল্য এবং স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য, প্রাতিষ্ঠানিক যোগাযোগ (Organizational Communication)-এর ক্ষেত্রে এই ঝুঁকিগুলো নিয়ন্ত্রণ করা অপরিহার্য। ডায়াগোনাল কমিউনিকেশন সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে না গেলেও, এটিকে অবশ্যই সুনির্দিষ্ট প্রোটোকল এবং আনুষ্ঠানিক চ্যানেলের সহায়ক হিসেবে ব্যবহার করা উচিত, যাতে নিয়ন্ত্রণ এবং স্বচ্ছতা বজায় থাকে।
সুতরাং, কার্যকর প্রাতিষ্ঠানিক যোগাযোগ নিশ্চিত করতে ডায়াগোনাল কমিউনিকেশনের সুবিধাগুলো গ্রহণ করুন, কিন্তু এর disadvantages of diagonal communication সম্পর্কে সর্বদা সতর্ক থাকুন এবং এটি যেন আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়াকে অবমূল্যায়ন না করে, সেদিকে মনোযোগ দিন।


